উন্নয়নের নিরিখে পূর্ব বর্ধমানে ১৫ টি পঞ্চায়েত লাল তালিকাভুক্ত

9th August 2020 12:24 pm বর্ধমান
উন্নয়নের নিরিখে পূর্ব বর্ধমানে ১৫ টি পঞ্চায়েত লাল তালিকাভুক্ত


বাবু সিদ্ধান্ত ( বর্ধমান ) :  উন্নয়ন মূলক কাজের অর্থ খরছে একেবারেই দুর্বল এমন ১৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে চিহ্নিত করে ‘লাল সতর্কতা’ জারি করলো পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন । ১০০ দিনের কাজ ,বাংলা আবাস যোজনা ও মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে ২৫ শতাংশ অর্থ খরচ করতে না পারার জন্যই  জেলার ২১৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে প্রশাসন ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে চিহ্নিত করেছে । লাল সতর্কতা জারি করা পঞ্চায়েত গুলির প্রতি কঠোর মনোভাব প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন ।  জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,উন্নয়ন মূলক কাজের জন্য পঞ্চায়েত গুলির  নিজস্ব তহবিল ও বিশ্বব্যাঙ্কের অনুদান পেয়ে থাকে ।  সেই অর্থে মিশন নির্মল বাংলা ,১০০ দিনের কাজ ও বাংলা আবাস যোজনার লক্ষ্যপূরণ  করার কথা । সেই কাজের মূল্যায়ন স্বরুপ   জেলা প্রশাসন  চারটে মানদন্ড নির্ধারণ করে দিয়েছিল ।তার  মূল্যায়ন শেষে  জেলা প্রশাসন  ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশে ‘লাল কালি’র দাগ  দিয়ে দিয়েছে । মূলত  নিজস্ব তহবিল ও বিশ্বব্যাঙ্কের অনুদান ২৫ শতাংশও খরচ করতে পারা পঞ্চায়েত গুলিকেই জেলা প্রশাসন ‘দুর্বল’ বলে চিহ্নিত করে লাল সতর্কতা জারি করেছে। ওই পঞ্চায়েত গুলি ১০০ দিন প্রকল্প কাজে  ৪০ শতাংশের  নিচে, বাংলা আবাস যোজনা ও মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্প কাজের  লক্ষ্যমাত্রার ৮৫ শতাংশের নীচে রয়েছে ।তাই  ওই  ১৫ টি পঞ্চায়েতকে ‘দুর্বল’ বলে ধরে নিয়ে  গত ১ আগষ্ট প্রশাসন লাল সতর্কতা জারি করেছে  । লাল সতর্কতা জারি করা ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ভাতারের বড়বেলুন ১ (১৪.৭৭%), বর্ধমান ১ ব্লকের বাঘার ২ (১৩.৩২%), গলসি ১ ব্লকের চকতেঁতুল (২৩.১৫%), জামালপুরের জাড়গ্রাম (১৩.৮১%), পূর্বস্থলী ১ ব্লকের নসরৎপুর (২০.২৭%), কাটোয়া ১ ব্লকের সুদপুর (২৩.৪১%), কেতুগ্রাম ২ ব্লকের সিতাহাটি পঞ্চায়েত  (২৪.৯৫%)  কাজ করেছে ।  অর্থাৎ এই ৭ টি  পঞ্চায়েত নিজস্ব তহবিল অর্থ  খরচ করতে ব্যর্থ হয়েছে । প্রশাসন সূত্রে আরও জানা  গিয়েছে, উন্নয়ন কাজে টাকা খরচ করতে না পারায় সবথেকে বেশী টাকা পড়ে রয়েছে নসরতপুর ও জাড়গ্রাম পঞ্চায়েতের তহবিলে  । নসরৎপুরে পঞ্চায়েতের তহবিলে রয়েছে  ৪ কোটি ও জারগ্রামের তহবিলে রয়েছে  ২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা । ১ কোটি টাকার বেশী তহবিলে রয়েছে বাঘার ২ ও চকতেঁতুল পঞ্চায়েতের । ১০০ দিনের কাজে ৪০% লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে  পারেনি সুদপুর, সিতাহাটি, জারগ্রাম,গলসির খানো, জামালপুরের আঝাপুর, কালনা ২ ব্লকের কল্যাণপুর, পূর্বস্থলীর মুকসিমপাড়া, নিমদহ, মেমারির নিমো ২, কেতুগ্রাম ২ ব্লকের গঙ্গাটিকুরি, নবগ্রাম পঞ্চায়েত ।প্রশাসনের দাবি  বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পেও এই  ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত ‘দুর্বল ’ বলে তালিকাভুক্ত হয়েছে। জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, “পঞ্চায়েতে টাকা পড়ে থাকবে অথচ  লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী  কাজ করবে না,তা মানা হবে না।  উন্নয়নমূলক কাজের চারটে বিভাগের মধ্যে কোনও না কোনও বিভাগে শেষের  দিকে থাকা ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে চিহ্নিত করা হয়েছে ।ওই সব পঞ্চায়েত গুলির বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর মনোভাব থাকবে । " 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।